ওঁ তৎ সৎ
"সার্বিক কল্যাণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা"
সনাতনী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)
সম্মানিত সুধী,
নমস্কার। ‘সনাতনী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন'-এর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
সনাতনীদের বহুমুখী উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘এসডিএফ' প্রতিষ্ঠিত; যার প্রথম পদক্ষেপ ‘শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান। শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষা-সংস্কৃতি-সভ্যতার চর্চা ও আত্মোন্নতি তথা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে আবাসিক সুবিধাসহ গুরুকুলের আদলে আধুনিক শিক্ষালয় গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য, যা হবে সনাতনীদের জন্য দল-মত-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে একটি সর্বজনীন জ্ঞানতীর্থ। প্রচলিত সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি যেখানে থাকবে সনাতন ধর্মীয় নানাবিধ শিক্ষা; তথ্য-প্রযুক্তিসহ যুগোপযোগী বিবিধ বিষয়, সমৃদ্ধ লাইব্রেরী ও গবেষণা কেন্দ্র। যা আগামী প্রজন্মকে আধুনিক বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এক জাতি গঠনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। সাধারণ শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্যান্যদের জন্য থাকবে সনাতন ধর্মীয় স্বল্পমেয়াদী কোর্সের ব্যবস্থা।
এই মহতী কাজে স্বল্পআয়ের ব্যক্তিও যাতে অবদান রাখতে পারে সেকারণে সর্বস্তরের সনাতনীদের কাছ থেকে অনুদানে গঠিত। এই তহবিল থেকে শিক্ষা প্রকল্পের সকল ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আমাদের প্রথম পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলায় এবং ইতিমধ্যে জমির বায়নাপত্র সম্পাদন করা হয়েছে। পরবর্তীতে একইভাবে প্রতিটি বিভাগে অন্তত একটি করে শিক্ষালয় গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ও রয়েছে। এমতাবস্থায় ৭ (সাত) একর জমি (প্রথম ধাপে ১ একর ও ক্রমান্বয়ে বাকি ৬ একর) ক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রত্যেক সনাতনী পরিবার থেকে অনুদান সংগ্রহ আবশ্যক।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে নিবন্ধিত সতীর্থ/সেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সর্বত্র অনুদান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই মহতী কর্মযজ্ঞে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে ওয়েবসাইটের ‘সতীর্থ নিবন্ধন’ ফরম পূরণ করে সতীর্থ/সেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত হয়ে আগামী প্রজন্মের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির লক্ষ্যে আপনার মূল্যবান সময়, শ্রম, মেধা ও অর্থ প্রদান করে স্বধর্মের উন্নতি সাধনে এই কার্যক্রমকে সাফল্যমণ্ডিত করার সবিনয় আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন, একজন গর্বিত সনাতনী হিসেবে মাতৃভূমি বাংলাদেশে সনাতনীদের সামগ্রিক কল্যাণে ব্রতী হই এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই মহান প্রয়াস সফল করি।
ধন্যবাদান্তে : সনাতনী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)
-: অনুদান পাঠাতে :-
চলতি হিসাব- 0100256191461 (সনাতনী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন)
জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বাড্ডা শাখা, ঢাকা (রাউটিং- 135260344)
অথবা, বিকাশ পেমেন্ট / নগদ ও রকেট পার্সোনাল- 01886-880299
-: প্রয়োজনবোধে যোগাযোগ করুন :-
মোবাইল: 01712-657555 (সতীর্থ সংক্রান্ত), 01869970401 (দাপ্তরিক তথ্য)
01714-765420 (অনুদান সংক্রান্ত), 01849-128526 (প্রকল্প সংক্রান্ত), 01886-880299 (সার্বিক তথ্য)
বিস্তারিত আপডেট জানতে ভিজিট করুন- www.amar2tk.org ই-মেইল: amar2tk@gmail.com
==+== যে ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল ==+==
ভূমিকা-
ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলায় ৭ একর জমি বিক্রয়ের একটি বিজ্ঞাপন দেখে জাতি-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল সনাতন সম্প্রদায়ের সনাতন ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের সম অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রচলিত সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস প্রণয়নের মাধ্যমে একটি আবাসিক শিক্ষালয় (প্রথম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর) গড়ার স্বপ্নের শুরু। আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হয় ১০ অক্টোবর ২০২৩ (মঙ্গলবার) থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত ৬২টি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২২ শত এর অধিক সতীর্থ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি এবং তা চলমান রয়েছে। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের দশ হাজার (১০০০০) সতীর্থ প্রয়োজন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য-
বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে সর্বজনীনভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশে প্রচলিত সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সনাতন ধর্মীয় শিক্ষা এবং স্বদেশ, ভূমি, শিক্ষা-সংস্কৃতি-সভ্যতা ও আত্মোন্নতির লক্ষ্যে এক স্বাবলম্বী জাতি গঠনের জন্য একটি আধুনিক আবাসিক শিক্ষালয় গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আপাতত ভূমিকায় উল্লিখিত জমির উপর একটি আবাসিক সনাতনী শিক্ষালয় স্থাপন করার লক্ষ্যে আমরা একত্রিত হচ্ছি। পরবর্তীতে বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগীয় সদর বা জেলাসদরেও এ শিক্ষালয়ের শাখা স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলে আশাবাদী। বাংলাদেশে বসবাসরত সকল সনাতনীর ধর্মাবলম্বীর কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করতে চাই। এজন্য সকল বর্ণ-গোত্র-বয়স নির্বিশেষে সকল সনাতনীর সহযোগিতা আমাদের কাম্য। সতীর্থদের মূল কাজ- “আমার এলাকায় বসবাসকারী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুদান সংগ্রহ করে দিব এবং পাশাপাশি পরিচিত বাংলাদেশী সনাতনীকে বিষয়টি জানানোর মাধ্যমে আমার মত আরও সতীর্থ তৈরি করব”।
বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া-
উক্ত প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৪টি ধাপে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত করার প্রয়াস করছি।
প্রথম ধাপ-
বাংলাদেশে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত প্রত্যেক তৃণমূল এলাকা থেকে ন্যূনতম একজন সেবক/সতীর্থ আমাদের গুগল ফরম পূরণের মাধ্যমে নিজের কিছু তথ্য (নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, পেশা, হোয়াটসএ্যাপ নম্বর ও ফেসবুক আইডি লিঙ্ক) প্রদান করে সতীর্থ হিসেবে যুক্ত হয়ে অত্র প্রকল্পের সার্বিক সাফল্যের স্বার্থে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিঃস্বার্থভাবে প্রথমে অনলাইনে এবং অনুদান আদায়ের সময় সাথে থেকে মেধা, শ্রম ও সময় দিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে স্ব স্ব এলাকায় বসবাসরত সনাতনীদের কাছ থেকে অনুদান আদায় করতে সাহায্য করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় যথেষ্ট সাড়া দিয়ে আমাদেরকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন ইতোমধ্যে যোগদান করা সতীর্থগণ।
দ্বিতীয় ধাপ-
তৃণমূলের শক্তিই কেন্দ্রকে শক্তিশালী করে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে অনুদান আদায়কারী টিম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য স্ব স্ব জেলার গুগল ফরমের মাধ্যমে নিবন্ধিত সতীর্থদের দ্বারা প্রতি জেলায় একজন জেলা প্রতিনিধি এবং জেলা প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রত্যেক উপজেলায় উপজেলা সমন্বয়কারী মনোনীত হবেন। অতঃপর প্রতিনিধিগণ ও সতীর্থদের দ্বারা প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রামে কমপক্ষে একজন করে সতীর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে আমরা তৃনমূল পর্যন্ত পৌঁছে যাব।
তৃতীয় ধাপ-
জেলা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্ব স্ব বিভাগের জন্য একজন করে উপদেষ্টা মনোনীত করা হবে। ৮ বিভাগ থেকে মনোনীত ৮জন উপদেষ্টার মনোনীত আরও ২জন এবং জমির মালিক পক্ষের ১জন সহ ১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ উপদেষ্টা বা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। উক্ত কমিটি ১. জমি নির্বাচন, ২. জমির চুক্তিপত্র সম্পাদন, ৩. সিলেবাস প্রনয়ণ, ৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন গ্রহণ, ৫. ব্যাংক এ্যাকাউন্ট তথা সকল ধরণের আইনী কার্যক্রম গ্রহণ এবং ৬. অন্যান্য বিবিধ কার্যক্রম গ্রহণ ও সম্পন্ন করবেন।
চতুর্থ ধাপ-
গঠিত উপদেষ্টা বা আহ্বায়ক কমিটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের প্রাথমিক কার্যক্রম শেষ করতঃ প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অনুদান আদায়ের লক্ষ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য কাগজ-পত্রাদি প্রণয়নপূর্বক জেলা প্রতিনিধিগণকে অনুদান আদায়ের জন্য দিক-নির্দেশনা প্রদান করবে এবং তদানুসারে সতীর্থগণ দ্বারা অনুদান আদায় সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ থাকে যে, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের কিছু কার্যক্রম এবং তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের কিছু কার্যক্রম একইসঙ্গে চলবে।

ভালো উদ্দোক
ReplyDeleteআমি প্রায় শুরু থেকেই মনে-প্রাণে জড়িত। প্রত্যেক সনাতনীর উচিত এর সাথে জড়িত হওয়া।
ReplyDeleteআপনার ফেসবুক আইডির লিংক দিন
Deletehttps://www.facebook.com/profile.php?id=100062888649631&mibextid=ZbWKwL
Deleteবাংলাদেশের সচেতন সনাতনীদের যে আশা, সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়মে আপনারা কাজ করছেন, ঈশ্বর সহায়।
ReplyDeleteদুই টাকা এখানে রাখা যাবে না
ReplyDeleteআছি থাকবো
ReplyDeleteসাধুবাদ জানাই এমন মহত্ত্ব উদ্যোগ নেওয়ার জন্য🙏🙏
ReplyDeleteযদি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উন্নয়নে কাজ করা হয় অবশ্যই অবশ্যই সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।