মহানগর, জেলা ও উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি
সনাতনীদের বহুমুখী উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
"সার্বিক কল্যাণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা "
নমস্কার,
সম্মানিত সুধী,
বিনীত নিবেদন যে, আপনি/আপনারা 'সনাতনী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ' সম্পর্কে ইতিমধ্যে সম্যক ধারণা লাভ করেছেন অথবা একেবারেই অবগত নন। দুটা বিষয় যৌক্তিক। কারণ, এ ধরণের কোনো সংগঠন বা সংস্থা পূর্ব হতে কোথাও প্রচলিত বা প্রতিষ্ঠিত নয়। তবে আমরা কতিপয় ক্ষয়িষ্ণু সনাতনী সমাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন সচেতন ব্যক্তি সনাতন সমাজ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হিসাবে 'সনাতনী ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ' নামে একটা উন্নশন সংস্থা গঠন করে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প প্রণশন ও বাস্তবায়নে তৎপর হয়েছি।
এ বিশাল কাজে সকলের অবগতি, সচেতনতা, সক্রিয় অংশ গ্রহণ ও সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সংস্থাটি ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুভ যাত্রা শুরু করে এ পর্যন্ত কাজ করে আসছে। ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দায় একুশ বিঘ জমিকে কেন্দ্র করে উক্ত উপর আধুনিক ও সনাতনী জ্ঞান সমন্বিত একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে সক্ষম হয়েছি। তবে উক্ত জমির সম্পূর্ণ মুল্য পরিশোধ, দলিল ও অবকাঠামো নির্মান প্রচেষ্টা চলমান। সবার সহযোগিতা পেলে এটাকে একটা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে দেশে সনাতনী ধর্মীয় জ্ঞান ও ঐতিহ্য সমন্বিত স্বতন্ত্র শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন সভব হবে। সামর্থ্য সাপেক্ষে আমরা বাংলাদেশের আটটি বিভাগে এরকম একটা করে আটটি প্রতিষ্ঠান গড়তে আগ্রহী।
হে বিবেকবান,
আপনি নিশ্চয় জানেন যে, সমাজের ভিত মজবুত হলেই সে সমাজ টিকে থাকে। সনাতনী সমাজকে টিকিয়ে রেখে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে শুধুমাত্র মন্দির, মঠ ও রাজনৈতিক সভা সমাবেশ কেন্দ্রিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান গড়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এরজন্য চাই এমন একটা উন্নয়ন সংগঠন যা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, শিল্প, সংস্কৃতি, গবেষণা, বাণিজ্য ও শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করে সার্বিক অর্থনৈতিক ভিত মজবুত করতে পারে। সনাতনী ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন উপরোক্ত লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে। এ কাজে আপনি/আপনারা যতো দ্রুত, যতো বেশি সহযোগিতা করবেন ততই জাতির মঙ্গল ত্বরান্বিত ও নিশ্চিত হবে।
সনাতনী জ্ঞানতীর্থের শিক্ষার্থীদের মাঝে গীতা বিতরণ
আলোর মুখ দেখতে শুরু করছে
"সার্বিক কল্যাণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা"
প্রিয় সুধী,
বহুল প্রতিক্ষিত সেই "সনাতনী জ্ঞানতীর্থ" শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছোট পরিসরে হলেও অবশেষে, পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়েছে (সনাতনী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর একটি প্রকল্প শিক্ষা) । স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ৬ জন শিক্ষার্থীকে পাঁচদিনের ট্রেনিং শেষে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে গত ২৩ শে এপ্রিল রোজ বুধবার থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে ।
৩য় থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং
শিশু শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত বিকাল ৩ঃ৩০ টা থেকে বিকাল ৫ঃ৩০ টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পাশাপাশি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ইংরেজি গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাইভেট ভাবে প্রতিদিন বিকাল ৪ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
সনাতনী জ্ঞানতীর্থে ৫ দিন ব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণ
আগামী ১৬ই এপ্রিল রোজ বুধবার থেকে সনাতনী জ্ঞানতীর্থে শুরু হচ্ছে ৫ দিন ব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা।
প্রথম পর্যায়ে তিনজন প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
কলিং এ্যাপের স্কোরবোর্ড
ব্যাক্তিগত ব্যস্ততার মধ্য থেকেও কলিং এ্যাপের মাধ্যমে সতীর্থগনের সাথে কথা বলেছেন- @চন্দন দাস দাদা, @মোহন রায় জীবন দাদা, @কল্পনা কর্মকার দিদি, @ননী ভূষন দাদা, @কানন দাস দাদা, @মোহন সরকার দাদা, @সঙ্গীতা রায় দিদি, @সবুজ দাস দাদা (সিলেট), @রামকৃষ্ণ রায় দাদা, @শ্রীকান্ত সরকার দাদা, @দিলীপ অধিকারী দাদা, @রিপন কুমার দাদা ও @তুষার সরকার দাদা। পরামর্শ ও মনিটরিং এ ছিলেন @ইঞ্জি. পলাশ বিশ্বাস দাদা।
সনাতনী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এর স্বপ্নের শিক্ষালয়টির শুভ সূচনা অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ
সুহৃদ,
নমস্কার। আগামীকাল ২১মার্চ ভগবানের অশেষ কৃপায় মঙ্গল ঘট স্থাপন ও ধর্মীয় মাঙ্গলিক ক্রিয়ার মধ্যদিয়ে সনাতনী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এর স্বপ্নের শিক্ষালয়টির শুভ সূচনা হতে যাচ্ছে। এই শুভক্ষণে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় আপনি/আপনারা নিমন্ত্রিত।
অনুষ্ঠান সূচি-
- তারিখ: ২১ মার্চ'২৫ (শুক্রবার)
- সকাল ৯ টা: বেদ, গীতা, ভাগবত থেকে পাঠ।
♦বিজ্ঞপ্তি: ১৮/৩/২৫ ইং♦
- ননী ভূষন
- দিলীপ অধিকারী
- চন্দন দাস
- জীবন রায়
- মোহন সরকার
- সংগীতা রায়
বিশেষ আপডেট: ১৩/০৩/২০২৫ ইং
![]() |
(ছবি: কলিং এ্যাপের কর্মকর্তাগণ) |
নমস্কার। সনাতনী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এ এখন পর্যন্ত ৪৮৯ জন সতীর্থ বিভিন্ন পরিমানে মোট ৯৬৩ বার দান করেছেন বৃহত্তর সনাতনীর কল্যানে। এই ৯৬৩ টি দান থেকে শুধুমাত্র সতীর্থদের ভিতর থেকে (সদস্যদের বাইরে মাঠ পর্যায়ে সংগ্রহ বাদে) সংগ্রহিত হয়েছে মোট ৯ লাখ ৫ হাজার ৫ শত ৪৫ টাকা।